ইতিহাস

হাপানিয়া কামাশপুর মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদরাসা নওগাঁ জেলাধীন সাপাহার উপজেলার একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হাপানিয়া এবং কামাশপুর মৌজা সাপাহার উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের অন্তর্গত পাশাপাশি অবস্থিত দুটি বড় গ্রাম। ১৯৭০ সালের দিকে গ্রাম দুটিতে গ্রামবাসীর উদ্যোগে দ্বীনি শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে মসজিদ ভিত্তিক দুটি মক্তব প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি হাপানিয়া গ্রামের পুরাতন মসজিদে অপরটি কামাশপুর গ্রামের মরহুম মাও. তোফাজ্জুল হক এর বাসার পাশের মসজিদে। পরবর্তিতে হাপানিয়া গ্রামের মক্তবটিতে মরহুম জনাব মোঃ মোবারোক আলী ১১ শতক জমি দান করলে মক্তবটিকে ফুরকানিয়া মাদ্রাসায় উন্নীত করা হয়। ১৯৮১ সালের শুরুতে উভয় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, উভয় গ্রামের মক্তব ও ফুরকানিয়া মাদ্রাসা দুটি ভেংঙ্গে একটি দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার। সভায় হাপানিয়া গ্রামের নেতৃত্ব দেন তৎকালিন মিরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব রিয়াজ উদ্দীন আহমেদ ও তার সুযোগ্য পিতা জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী এবং ততকালিন গোয়ালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আতাউর রহমান ও তার সুযোগ্য পিতা জনাব মোঃ মোবারোক আলী অপরদিকে কামাশপুর গ্রামের নেতৃত্ব দেন তৎকালিন মিরাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মাও. মোঃ তোফাজ্জুল হক। সভায় জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী প্রস্তাবিত দাখিল মাদ্রাসার জন্য ১ একর জমি দান করেন। এরপর শুরু হয় দাখিল মাদ্রাসা গড়ার প্রক্রিয়া। তবে দানকৃত জমিগুলো ভিন্ন জায়গায় হওয়ায় জনাব মরহুম মোঃ আব্দুর রহমান ও তার ভাই আব্দুস সালাম এবং মরহুম আলহাজ্ব নুরুল ইসলামের নিকট জমি বিনিময় করে মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। নামকরনঃ যেহুতু দুটি বড় গ্রামের দুটি মক্তব কাম ফুরকানিয়া মাদ্রাসা ভেংঙ্গে নতুন করে হাপানিয়া মৌজায় দাখিল মাদ্রাসা স্থাপন করা হচ্ছে সেহেতু হাপানিয়া ও কামাশপুর গ্রাম দুটির নাম মাদ্রাসার নামের সাথে স্থান পায় এছাড়া জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী এক একর জমি দান করায় তার নামটিও মাদ্রাসার নামের সাথে স্থান পায়। আর এভাবেই মাদ্রসার নাম হয় হাপানিয়া কামাশপুর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা। বর্তমানে মাদ্রাসাটি ফাজিল পর্যন্ত উন্নীত হওয়ায় মাদ্রাসার নাম হাপানিয়া কামাশপুর মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদরাসা।